Resent Post
Loading...

বিশ্ব থ্যালাসেমিয়া দিবস ৮ মে





"বিশ্ব থ্যালাসেমিয়া দিবস (৮ই মে, ২০১৮)"
_____________________________________
চিরিরবন্দর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে থ্যালাসেমিয়া বিষয়ক আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়।সভায় সভাপতিত্ব করেন অত্র স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স এর সম্মানিত UHFPO শ্রদ্ধেয় ডাঃ মো: আজমল হক স্যার এছাড়াও রাহানা ইসলাম, মেডীন, লংকেশর সহ সকল সিএইচসিপি উপস্থিত ছিলেন।

থ্যালাসেমিয়া কি?
থ্যালাসেমিয়া একটি জিনগত রোগ, তবে এই রোগকে প্রতিরোধ করা সম্ভব। 
এই রোগে আক্রান্ত ব্যাক্তির রক্তে হিমোগ্লোবিন তৈরির হার কমে যায় আশংকাজনক হারে, উপযুক্ত পরিমাণে রক্তকণিকা তৈরি হয় না। আক্রান্তের দেহে লোহিত রক্তকণিকার পরিমাণ কমে, সাথে কমে যায় লোহিত কণিকার আয়ুও। ত্রুটিপূর্ণ হিমোগ্লোবিনের কারনে রক্তকনিকা বেশিদিন বাচতে পারে না, রক্তকনিকা ভেঙে যায়। ফলে দেখা দেয় মারাত্মক রক্ত শুন্যতা।




আমাদের অজ্ঞতার জন্য আমাদের ভবিষ্যৎ প্রজন্ম যেন থ্যালাসেমিয়া নামক রক্তশূন্যতার এই মারাত্মক রোগটি নিয়ে পৃথিবীতে না আসে, আসুন নিশ্চিত করি।



 উপসর্গঃ
থ্যালাসেমিয়ার উপসর্গগুলো মূলত রক্তস্বল্পতার কারণে সৃষ্ট উপসর্গ। অর্থাৎ ক্লান্তি, অবসাদগ্রস্ততা, শ্বাসকষ্ট, ফ্যাকাসে হয়ে যাওয়া এসব। রক্ত অধিক হারে ভেঙে যায় বলে জন্ডিস হয়ে ত্বক হলদে হয়ে যায়। প্রস্রাবও হলুদ হতে পারে। প্লীহা বড় হয়ে যায়। যকৃতও বড় হয়ে যেতে পারে। অস্থি পাতলা হয়ে যেতে থাকে। চেহারার বিশেষ পরিবর্তন হয়। নাকের হাড় দেবে যায়। মুখের গড়ন হয় চীনাদের মতো। একে বলে ‘মংগোলয়েড ফেইস’। রোগীকে ঘনঘন রক্ত দিতে হয় বলে শরীরে আয়রনের মাত্রা বাড়তে থাকে। এই আয়রন জমা হয় হৃৎপিণ্ডে, যকৃতে, অগ্ন্যাশয়ে। এই পর্যায়টি মারাত্মক। দেখা যায়, অতিরিক্ত আয়রন জমে যাওয়ার কারেণে অঙ্গগুলো বিকল হতে শুরু করে। এ রকম পরিস্থিতিতে সঠিক চিকিৎসা না পেলে রোগী মারা যেতে পারে। বারবার রক্ত পরিসঞ্চালনের কারণে রোগীরা সহজেই রক্তবাহিত সংক্রামক রোগে আক্রান্ত হয়ে পড়ে।

          


পরীক্ষা-নিরীক্ষাঃ
থ্যালাসেমিয়া শনাক্ত করার উপায় হলো রক্তের হিমোগ্লোবিন ইলেকট্রোফরেসিস পরীক্ষা। রক্তের রুটিন পরীক্ষা করলে রক্তস্বল্পতার মাত্রা বোঝা যায়। এ ছাড়া এই রোগে লোহিত কণিকার আকার ছোট হয়ে যায়। রুটিন পরীক্ষায় সেটাও বোঝা যায়। এতে প্রাথমিক সন্দেহটা এখান থেকেও আসতে পারে। এ ছাড়া ডিএনএ পরীক্ষা করেও এই রোগ ধরা যায়। মাথার এক্সরে, পেটের আলট্রাসনোগ্রাম এগুলোও আছে।
.



 #আসুন_বদলে_যাই_♥#বদলে_বদলে_দেই
#সচেতনতা_ছড়িয়ে_দেই_সবখানে।

"প্রতিরোধই প্রতিকার,"
"সচেতনা হচ্ছে থ্যালাসেমিয়া মুক্তির প্রধান হাতিয়ার"।

#থ্যালাসেমিয়া_থেকে_চাইলে_রক্ষা_বিয়ের_আগে_করুন_রক্ত_পরীক্ষা।




চিকিৎসাঃ
রক্ত পরিসঞ্চালনই থ্যালাসেমিয়ার মূল চিকিৎসা। আয়রন বেড়ে গেলে ‘আয়রন চিলেশন’ চিকিৎসার মাধ্যমে তা কমাতে হবে। আয়রন সমৃদ্ধ খাবার বা আয়রনের ওষুধ খাওয়া একদম নিষেধ। প্লীহা বড় হয়ে গেলে অপারেশন করে সেটা ছোট করে দিতে হয়। এতে রক্ত গ্রহণের হার কিছুটা কমে আসে। মূলত অস্থিমজ্জা প্রতিস্থাপন হলো এর স্থায়ী চিকিৎসা। এটা খুবই ব্যয়বহুল।
প্রতিরোধের উপায়ঃ
থ্যালাসেমিয়া থেকে প্রতিরোধের একমাত্র উপায় বিয়ের আগে রক্ত পরীক্ষা এবং এ রোগের বিরুদ্ধে জনপ্রতিরোধ গড়ে তোলা।বিয়ের আগেই পরীক্ষা-নিরীক্ষার মাধ্যমে নিশ্চিত হওয়া উচিত, যেন দুজন থ্যালা





         



0 মন্তব্য(গুলি):