HPV ( এইচপিভি) জরায়ুমুখ ক্যান্সারের টিকা নিন, সুস্থ্য থাকুন।
বাংলাদেশ সরকার, ইউনিসেফ, দ্যা ভ্যাকসিন অ্যালায়েন্স
- গ্যাভি ও বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা এর সহায়তায় জরায়ুমুখ ক্যান্সারের অন্যতম কারন হিউম্যান
প্যাপিলোমাভাইরাস (এইচপিভি) এর প্রতিষেধক টিকাদান কর্মসূচি শুরু করেছে, যা একটি যুগান্তকারী
উদ্যোগ। এই কর্মসূচির লক্ষ্য হলো, দেশের লাখ লাখ মেয়েদেরকে জরায়ুমুখ ক্যান্সার থেকে
রক্ষা করার মাধ্যমে তাদের স্বাস্থ্য ও ভবিষ্যত সুরক্ষিত করা । প্রতি বছর হাজার হাজার
নারীর জীবন কেড়ে নেয় এই জরায়ুমুখ ক্যান্সার।
প্রতিধাপে দেশব্যাপী মোট ১৮দিন ক্যাম্পেইনের
টিকাদান কার্যক্রম পরিচালিত হবে। তন্মধ্যে প্রথম ১০ দিন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ও স্থায়ী
কেন্দ্রসমূহে টিকাদান কার্যক্রম চলবে। পরবর্তী ৮ দিন অস্থায়ী ও স্থায়ী কেন্দ্রসমূহে
টিকা প্রদান করা হবে।
ক্যাম্পেইনের এইচপিভি টিকাদান সেশন শুক্রবার ও সরকারি ছুটির দিন ব্যতীত প্রতিদিন সকাল ৮টা থেকে বিকাল ০৩.৩০টা পর্যন্ত চলবে।
টিকা নিতে আজই ১৭ ডিজিটের অনলাইন জন্মনিবন্ধন নাম্বার ব্যবহার করে রেজিস্ট্রেশন করুন:
https://vaxepi.gov.bd ওয়েবসাইটে।
নিবন্ধন প্রক্রিয়াটি ভিডিওচিত্র আকারে দেখানো হল।
অনলাইন নিবন্ধন করতে এখানে ক্লিক করুন-
এইচপিভি টিকা মানে কি?
হিউম্যান প্যাপিলোমাভাইরাস (এইচপিভি) থেকে রক্ষা
করে এমন একটি টিকা এইচপিভি ভ্যাকসিনেশন নামে পরিচিত। এটি এইচপিভি দ্বারা সৃষ্ট
সংক্রমণের বিস্তার থেকে রক্ষা করে এবং এইচপিভি দ্বারা সৃষ্ট ক্যান্সার হওয়ার
ঝুঁকি কমায়।
HPV VACCINE ( জরায়ুমুখের ক্যানসারের
টিকা) রেজিষ্ট্রেশন নির্দেশনা ৷
১। রেজিষ্ট্রেশন প্রকৃয়া সম্পন্ন করতে ১০-১৪ বছর বা ৫ম - ৯ম শ্রেনি কিশোরীর
/ অভিভাবক এর মোবাইল নাম্বার ব্যবহার করতে হবে।
২। কোন অবস্থায় শিক্ষক / এনজিও কর্মি / কম্পিউটার দোকান / স্বাস্থ্য কর্মি
বা অন্য কোন ব্যাক্তির মোবাইল নাম্বার ব্যবহার করা যাবে না।
৩। মোবাইলে আগত ও টি পি নাম্বার কারো সাথে শেয়ার কারা যাবে না।
৪। রেজিষ্ট্রেশন করতে শিক্ষক / স্বাস্থ্য সহকারী বা কম্পিউটার দোকানদার
দের / হাসপাতালে দায়িত্ব প্রাপ্ত ব্যাক্তির সহযোগিতা নিতে পারেন। কিন্তু মোবাইল নাম্বর
টিকা গ্রহন কারীর অভিভাবকদের হতে হবে।
৫। টিকা কার্ড প্রিন্ট করে ১০-১৪ বছরের কিশোরী নিজের কাছে সযত্নে রাখতে
হবে। টিকা প্রদানের দিন টিকা দান কেন্দ্রে নিয়ে আসতে হবে।
৬। এক জনের টিকা কার্ড অন্য কেউ ব্যবহার করতে পারবে না। HPV টিকা নিন, জরায়ু
ক্যানসারকে না বলুন।
টিকাগুলো কারা গ্রহণ করতে পারবেন
·
৫ম থেকে ৯ম শ্রেণি অথবা সমমানে অধ্যয়নরত ছাত্রী।
·
শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বহির্ভূত ১০-১৪ বছর বয়সী কিশোরী।
মেয়েদের
জরায়ুমুখ ক্যান্সার প্রতিরোধ করতে, বাংলাদেশ সরকার শুরু করেছে এইচপিভি টিকাদান ২০২৩।
HPV ( এইচপিভি) জরায়ুমুখ ক্যান্সারের টিকা
জরায়ুমুখ ক্যান্সারের লক্ষণসমূহঃ
- অতিরিক্ত সাদা স্রাব
- দুর্গন্ধযুক্ত স্রাব
- অতিরিক্ত অথবা অনিয়মিত রক্ত স্রাব
- সহবাসের পর রক্তপাত
- মাসিক পুরাপুরি বন্ধ হওয়ার পর পুনরায় রক্তপাত
- কোমর/তলপেট/উরুতে ব্যথা।
জরায়ুমুখ ক্যান্সার প্রতিরোধের উপায়ঃ
|
|
|
|
|
|
|
|
|
এইচপিভি টিকা কখন
দেয়া যাবে না?
q জ্বর (১০০ ডিগ্রি ফা: এর বেশি) হলে
q পূর্বে কোন টিকা দেয়ার পর এলার্জির ইতিহাস থাকলে
q টিকা গ্রহণের দিন অসুস্থ থাকলে
টিকা গ্রহণের সুবিধা
·
বাংলাদেশে নারীদের ক্যান্সারজনিত মৃত্যুর মধ্যে জরায়ুমুখ ক্যান্সার দ্বিতীয় সর্বোচ্চ।
·
এইচপিভি টিকা জরায়ুমুখ ক্যান্সার প্রতিরোধ করে।
·
৫ম থেকে ৯ম শ্রেণিতে অধ্যয়নরত ছাত্রী অথবা ১০ থেকে ১৪ বছর বয়সী শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বহির্ভূত কিশোরীদের জন্য এই টিকা অধিকতর কার্যকর।
·
জরায়ুমুখ ক্যান্সার প্রতিরোধে এইচপিভি টিকার একটি ডোজই যথেষ্ট।
·
এইচপিভি টিকা বিশ্বব্যাপী পরীক্ষিত, নিরাপদ ও কার্যকর।
·
গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের উদ্যোগে এই টিকা বিনামূল্যে প্রদান করা হবে।
এইচপিভি কিভাবে ছড়ায়ঃ
q অনিরাপদ যৌন মিলনের মাধ্যমে
এই ভাইরাস ছড়িয়ে থাকে।
q বেশিরভাগ ক্ষেত্রে এইচপিভি ভাইরাস সংক্রামণের লক্ষণ সঙ্গে সঙ্গে বোঝা যায় না।
q সাধারণত এই ভাইরাস দ্বারা
সংক্রামিত হওয়া থেকে জরায়ুমুখ ক্যান্সারের লক্ষণ প্রকাশ পেতে ১৫-২০ বছর সময় লাগে।
q স্বল্প রোগপ্রতিরোধ ক্ষমতা সম্পন্ন নারীদের ক্ষেত্রে ক্যান্সারে রূপ নিতে মাত্র ৫-১০ বছর
সময় লাগে।
q আক্রান্ত ব্যক্তির রক্ত এবং
দেহরসে এই ভাইরাস পাওয়া যায়।
ভাল লাগলে শেয়ার করুন
HPV ( এইচপিভি); সচরাচর জিজ্ঞাস্য
শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে অধ্যয়নরত ছাত্রীঃ নিজ নিজ শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ও এলাকার স্থায়ী/অস্থায়ী ইপিআই টিকাদান কেন্দ্রে এইচপিভি টিকা নিতে পারবে।
শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বহির্ভূত কিশোরীঃ নিজ নিজ এলাকার স্থায়ী/অস্থায়ী ইপিআই টিকাদান কেন্দ্রে এইচপিভি টিকা নিতে পারবে।
0 মন্তব্য(গুলি):