Resent Post
Loading...

চিরিরবন্দরের সকল কমিউনিটি ক্লিনিকে জাতীয় কৃমি নিয়ন্ত্রন সপ্তাহ/২০২১ পালন।

আয় ছেলেরাআয় মেয়েরা চল ছুটে যাইকমিউনিটি ক্লিনিক থেকে কৃমির ঔষুধ খাই” - আহবানে জাতীয় কৃমি নিয়ন্ত্রণ সপ্তাহ (১৬ মে থেকে ২০ মে)/২০২১  পালনে জনসচেতনতা বাড়াতে সর্ববৃহৎ সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেইসবুক মাইকিংসহ বিভিন্ন মাধ্যমে চিরিরবন্দর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের পক্ষ থেকে ব্যাপক প্রচার-প্রচারণা চালানো হয়েছে।


করোনা ভাইরাস (কোভিড-১৯) এর দ্বিতীয় ঢেউ মোকাবেলায় তথা ভাইরাসের ক্ষতিকর প্রভাব থেকে জনগনকে সুরক্ষিত রাখতে এবারের জাতীয় কৃমি নিয়ন্ত্রণ সপ্তাহ-২০২১ বিকল্প পদ্ধতিতে চিরিরবন্দরের সকল কমিউনিটি ক্লিনিকের কমিউনিটি হেলথ কেয়ার প্রভাইডার (সিএইচসিপি), এইচএ স্বেচ্ছাসেবকদের মাধ্যমে ডা. মোহাম্মদ সাব্বির হয়দার স্যার উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তার দিক নির্দেশনায়   বছর থেকে ১৬ বছর বয়সী শিশু-কিশোরদের ১৬ মে থেকে ২০ মে পর্যন্ত সরকারি ব্যবস্থাপনায় কৃমি নাশক ঔষুধ খাওয়ানো হয়।  


জাতীয় কৃমি নিয়ন্ত্রণ কার্যক্রম 

আওতাভুক্ত জেলাঃ ৬৪

টার্গেট গ্রুপঃ ৫-১৬ বছরের সকল শিশু

মাধ্যমঃ সকল কমিউনিটি ক্লিনিক সমুহ

জাতীয়ভাবে কর্মসূচরি শুরুঃ  নভেম্বর  ২০০৮

কৃমি নিযন্ত্রণ সপ্তাহঃ বছরে ২ বার - এপ্রিল ও অক্টোবর।

জাতীয় কৃমি নিয়ন্ত্রন সপ্তাহ পরিদর্ষন করেন ডা. মোহাম্মদ সাব্বির হয়দার স্যার উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা, চিরিরবন্দর।


ডা. মোহাম্মদ সাব্বির হয়দার স্যার উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা, কৃমির ও ষুধ খাওয়াচ্ছেন



কৃমি নিয়ন্ত্রণ কার্যক্রম
STH Control Program

S = Soil

T = Transmitted

H =Helminthes

বাংলাদেশে সাধারণতঃ প্রজাতির কৃমি বেশী দেখা যায়

যেমনগোল কৃমি, বক্র কৃমিসুতা কৃমি।

এছাড়া আরও অনেক ধরণের কৃমি আছে।



কৃমির ক্ষতিকর  দিকসমূহ:
বদহজম, ডায়রিয়া, বমি, পাতলা পায়খানা ইত্যাদি,
কৃমি আক্রাšত শিশু অপুষ্টিজনিত রোগের শিকার হয়,
 ভিটামিন এ স্বল্পতা দেখা দেয়,
 শিশুদের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কমে যায়,
 রক্তে হিমোগ্লোবিনের পরিমাণ কমে রক্তশূন্যতা দেখা দেয়,
 শিশুর মানসিক ও দৈহিক বিকাশ বাধাগ্রস্থ হয়,
 শিখন ক্ষমতা হ্রাস পায় এবং সৃতিশক্তি এবং কথার সাবলীলতায় প্রভাব ফেলে,
 জটিল রোগ দেখা দেয় যেমন: এপেন্ডিসাইটিস।


কৃমি কিভাবে বিস্তার লাভ করে:
একজন কৃমি আক্রান্ত শিশুর মলের সাথে কৃমির ডিম বের হয়। যে সমস্ত জায়গায় স্বাস্থ্য-সম্মত পায়খানা ব্যবহৃত হয় না সেখানকার অপরিচ্ছন ও অ-স্বাস্থ্যকর পরিবেশে ডিমগুলো ২-৪ সপ্তাহে পরিপক্কতা লাভ করে
ডিমগুলো অসতর্ক ভাবে পানি কিংবা অন্যান্য খাবারের সাথে খেয়ে ফেললে সুস্থ শিশুরা কৃমিতে আক্রাšত হয়
কিছু কৃমি (হুক ওয়ার্ম) খালি পায়ে চলাফেরার কারণে পায়ের পাতা/ত্বক ছিদ্র করে সংক্রমণ ঘটায়।

প্রতিরোধ:
প্রতি ৬ মাস পর পর কৃমিনিয়ন্ত্রণ ঔষধ সেবন করা,
নিয়মিত স্বাস্থ্যসম্মত পায়খানা ব্যবহার করা, 
মলত্যাগের পর, খাবার গ্রহণ কিংবা খাবার প্রস্তুতের পূর্বে  হাত অবশ্যই সাবান বা ছাই দিয়ে ভালোভাবে ধোয়া,
জুতা পরা,
পরিষ্কার -পরিচ্ছন্নভাবে খাদ্য-দ্রব্য প্রস্তুত করা,
হাতের নখ ছোট রাখা,
বাসস্থান এবং খাওয়ার জায়গা পরিষ্কার রাখা, 
কৃমির আক্রমণ থেকে রক্ষা পেতে ব্যক্তিগত পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা খুবই গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। কারণ অপরিষ্কার হাতে কৃমির ডিম থাকতে পারে যা আশে-পাশের লোকজন কিংবা খাদ্যদ্রব্যের সংস্পর্শে এলে সুস্থ লোকজনও কৃমি দ্বারা আক্রান্ত হতে পারে ।



জাতীয় কৃমি নিয়ন্ত্রণ সপ্তাহ (১৬ মে থেকে ২০ মে)/২০২১





0 মন্তব্য(গুলি):