জাতীয় ভিটামিন এ প্লাস ক্যাম্পেইন ওয়ার্ড ওরিয়েন্টেশন ২০২৩
১৮/০২/২০২৩ ইং রোজ শনিবার দিনাজপুর জেলার চিরিরবন্দর উপজেলার ৯ নং ভিয়াইল ইউনিয়নের সাবেক ০১ নং ওয়ার্ডে আগামী ২০ ফেব্রুয়ারী রোজ সোমবার। " ভিটামিন এ প্লাস " ক্যাম্পেইন সফল করার জন্য ওয়ার্ড ওরিয়েন্টেশন অনুষ্ঠিত হয়।
৬ মাস থেকে ১ বছরে কম শিশুকে একটি নীল রঙের এবং ১ বছর থেকে ৫ বছর বয়সী শিশুকে একটি লাল রঙের ভিটামিন ‘এ’ ক্যাপসুল খাওয়ানো হবে
বাংলাদেশ থেকে অপুষ্টিজনিত অন্ধত্ব নির্মূল, অপুষ্টিজনিত শিশু মৃত্যু প্রতিরোধ এবং শিশুর রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধির লক্ষ্যে আগামী ২০ ফেব্রুয়ারি সারাদেশের ন্যায় দিনাজপুর জেলার চিরিরবন্দর উপজেলার খেড়কাটি কমিউনিটি ক্লিনিকে জাতীয় ভিটামিন ‘এ’ প্লাস ক্যাম্পেইন পালন করা হবে।
ভিটামিন ‘এ ’ ক্যাপসুল অবশ্যই মাঠকর্মী/স্বেচ্ছাসেবক খাওয়াবেন।
কোনো অবস্থাতেই অভিভাবক/শিশুর হাতে দেয়া যাবে না।
কান্নারত অবস্থায় কিংবা জোর করে শিশুকে ভিটামিন ‘ এ ’ ক্যাপসুল খাওয়ানো যাবে না।
সবগুলো ভিটামিন ‘এ’ ক্যাপসুল একসঙ্গে কেটে রাখা যাবে না।
ভিটামিন ‘এ ’ ক্যাপসুলের মুখ কাঁচি দিয়ে কেটে ভেতরের সম্পূর্ণ তরল অংশ শিশুকে খাওয়াতে হবে।
কোনোভাবেই শিশুকে পূর্ণ বা গোটা ভিটামিন ‘এ’ ক্যাপসুল খাওয়ানো যাবে না।
১৯৭২ সালে এক গবেষণায় দেখা যায়, ৫ বছরের কম বয়সী শিশুদের মধ্যে প্রায় ৪.১% শিশু রাতকানা রোগে আক্রান্ত। ১৯৭৩ সালে বঙ্গবন্ধু সরকার জাতীয় রাতকানা প্রতিরোধ প্রকল্প শুরু করেন। এর অংশ হিসেবে বাড়ি বাড়ি গিয়ে ভিটামিন ‘এ’ ক্যাপসুল খাওয়ানো হয়। জাতীয় ভিটামিন ‘এ’ প্লাস ক্যাম্পেইনের মাধ্যমে ভিটামিন ‘এ’ ক্যাপসুল খাওয়ানো অব্যাহত রাখার ফলে বর্তমানে ভিটামিন ‘এ’ এর অভাবজনিত রাতকানা রোগের হার শতকরা ১ ভাগের নিচে রয়েছে।
ভিটামিন ‘এ’ ক্যাপসুল খাওয়ানোর ফলে শিশু যে শুধু রাতকানা রোগ থেকে রক্ষা পায় তা নয়, আরো বহুবিধ উপকার হয়। এ ক্যাপসুল শিশুর রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করে; ডায়রিয়া,আমাশয়, কলেরা, নিউমোনিয়া, টাইফয়েডসহ অন্যান্য সংক্রামক রোগে ঘন ঘন আক্রান্ত হওয়া রোধ করে, যা শিশুকে স্বাভাবিকভাবে বেড়ে উঠতে সহায়তা করে। ভিটামিন ‘এ’ শিশুর ডায়রিয়ার ব্যাপ্তিকাল হ্রাস করে এবং হামজনিত জটিলতা হ্রাস করে।
0 মন্তব্য(গুলি):