জাতীয় ভিটামিন এ প্লাস ক্যাম্পেইন ২০২৩
জাতীয় ভিটামিন এ প্লাস ক্যাম্পেইন ২০২৩
দিনাজপুর জেলার চিরিরবন্দর উপজেলার খেড়কাটি কমিউনিটি ক্লিনিকে ২০শে ফেব্রুয়ারি রোজ সোমবার ৬-৫৯ মাস বয়সী সকল শিশুদের সকাল ৮টা থেকে বিকাল ৪টা পর্যন্ত ভিটামিন-এ ক্যাপসুল খাওয়ানো হল।
১৯৭২ সালে এক গবেষণায় দেখা যায়, ৫ বছরের কম বয়সী শিশুদের মধ্যে প্রায় ৪.১% শিশু রাতকানা রোগে আক্রান্ত। ১৯৭৩ সালে বঙ্গবন্ধু সরকার জাতীয় রাতকানা প্রতিরোধ প্রকল্প শুরু করেন। এর অংশ হিসেবে বাড়ি বাড়ি গিয়ে ভিটামিন ‘এ’ ক্যাপসুল খাওয়ানো হয়। জাতীয় ভিটামিন ‘এ’ প্লাস ক্যাম্পেইনের মাধ্যমে ভিটামিন ‘এ’ ক্যাপসুল খাওয়ানো অব্যাহত রাখার ফলে বর্তমানে ভিটামিন ‘এ’ এর অভাবজনিত রাতকানা রোগের হার শতকরা ১ ভাগের নিচে রয়েছে।
ভিটামিন ‘এ’ ক্যাপসুল খাওয়ানোর ফলে শিশু যে শুধু রাতকানা রোগ থেকে রক্ষা পায় তা নয়, আরো বহুবিধ উপকার হয়। এ ক্যাপসুল শিশুর রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করে; ডায়রিয়া,আমাশয়, কলেরা, নিউমোনিয়া, টাইফয়েডসহ অন্যান্য সংক্রামক রোগে ঘন ঘন আক্রান্ত হওয়া রোধ করে, যা শিশুকে স্বাভাবিকভাবে বেড়ে উঠতে সহায়তা করে। ভিটামিন ‘এ’ শিশুর ডায়রিয়ার ব্যাপ্তিকাল হ্রাস করে এবং হামজনিত জটিলতা হ্রাস করে।
শিশুদের
ভিটামিন 'এ' ক্যাপসুল খাওয়ানোর উপকারিতা-
১. শিশুর
রাতকানা ও অন্ধত্ব রোগ প্রতিরোধ করে।
২. শিশুর
শরীরে
রোগ
প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়।
৩. অন্ধত্বের
চারটি
প্রধান কারণের মধ্যে ভিটামিন 'এ'-এর অভাবজনিত কর্ণিয়ার রোগ ও কর্ণিয়ার ক্ষত অন্যতম। এই ভিটামিনটির অভাবে আপনার শিশু রাতকানা হয়ে চিরদিনের জন্য অন্ধ হয়ে যেতে পারে।
৪. এই ভিটামিন
দৃষ্টিশক্তি স্বাভাবিক রাখতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।
৫. ত্বক ও শ্লৈষ্মিক
ঝিল্লির স্বাস্থ্যরক্ষার কাজ করে। দেহ বৃদ্ধি, বিশেষ করে দেহের অস্থি কাঠামোর বৃদ্ধি প্রক্রিয়ার সঙ্গে ভিটামিন 'এ'-এর সংযোগ রয়েছে।
৬. ভিটামিন
'এ'
জীবাণু সংক্রমণ থেকে দেহকে রক্ষা করে।
যাদের খাওয়ানো যাবে না:
উল্লিখিত বয়সের বাইরে যারা তারা খাবে না
মারাত্মক অসুস্থ হলে খাবে না
সম্প্রতি কেউ ভিটামিন এ ক্যাপসুল খেয়ে থাকলে তারা খাবে না
0 মন্তব্য(গুলি):