বিশ্ব মাতৃদুগ্ধ সপ্তাহ ১-৭ আগষ্ট/২০২৩
বিশ্ব মাতৃদুগ্ধ সপ্তাহ ১-৭ আগষ্ট/২০২৩
এবারের প্রতিপাদ্য বিষয় -
"Enabling breastfeeding - Making a difference for working parents.” অর্থাৎ- কর্মজীবী মা- বাবার সহায়ক পরিবেশ গড়ি মাতৃদুগ্ধ পান নিশ্চিত করি । এ প্রতিপাদ্যকে সামনে রেখে দিনাজপুর জেলার চিরিরবন্দর উপজেলা খেড়কাটি কমিউনিটি ক্লিনিকে সপ্তাহব্যাপি বিশ্ব মাতৃদুগ্ধ সপ্তাহ পালিত হচ্ছে।
বিশ্ব মাতৃদুগ্ধ সপ্তাহ ১-৭ আগষ্ট/২০২৩ খেড়কাটি কমিউনিটি ক্লিনিকে সপ্তাহব্যাপি কর্মসুচির -
প্রথম দিনঃ সিসির মুল ও সাপোট গ্রুপ কমিটি নিয়ে বিশ্ব মাতৃদুগ্ধ সপ্তাহের আলোচনা সভা।
দ্বিতীয় দিনঃ শিশু পুষ্টি
বিষয়ক
# প্রথম ৬
মাস শিশুকে শুধুমাত্র মায়ের দুধ খাওয়ান
# মায়ের দুধের
উপকারীতা।
# মায়ের দুধ
খাওয়ানোর ক্ষেত্রে সঠিক পজিশন এবং এট্যাচম্যান্ট।
# গুড়ো দুধের অপকারীতা।
তৃতীয় দিনঃ ৬ মাস থেকে ২ বছর পর্যন্ত শিশুর পরিপুরক খাবার ও পুষ্টি বিষয়ক বিশেষ সেবা প্রদান ও কাউন্সেলিং
চতুর্থ দিন ও ৫ম দিনঃ মাতৃ পুষ্টি বিষয়ক কাউন্সেলিং ।
কর্মজীবী মায়েদের শিশুকে ৬ মাস পর্যন্ত মায়ের দুধ খাওয়ানো এবং মায়ের দুধ গেলে বের করে সঠিক পদ্ধতিতে সংরক্ষন করে শিশুকে খাওয়ানো সর্ম্পকে কাউন্সেলিং।
৬ষ্ঠ দিনঃ মাতৃ ও শিশু
স্বাস্থ্যের উপর খেড়কাটি সিসিতে বিশেষ সেবা প্রদান।
-- -- -- *** -- -- -- *** = = =
প্রথম দিনঃ সিসির মুল ও সাপোট গ্রুপ কমিটি নিয়ে বিশ্ব মাতৃদুগ্ধ সপ্তাহের আলোচনা সভা।
মায়ের দুধের প্রয়োজনীয়তা ও শিশুর স্বাস্থ্য বিষয়ক সচেতনতা বৃদ্ধিতে জোর
দিতে এই বিশ্বব্যাপী এই সপ্তাহ পালন হয়। প্রতিবছর ১ থেকে ৭ আগস্ট বিশ্ব মাতৃদুগ্ধ সপ্তাহ
পালন করা হয়ে থাকে।
১৯৯২ সাল থেকে প্রতি বছর ১ আগস্ট বিশ্ব মাতৃদুগ্ধ দিবস ও ১ থেকে ৭ আগস্ট
বিশ্ব মাতৃদুগ্ধ সপ্তাহ পালিত হয়ে আসছে। ২০১০ সাল থেকে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশে
বিশ্ব মাতৃদুগ্ধ সপ্তাহ জাতীয়ভাবে বাংলাদেশেও পালিত হচ্ছে।
স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়, জাতীয় পুষ্টিসেবা, জনস্বাস্থ্য পুষ্টি
প্রতিষ্ঠানের উদ্যোগে, বাংলাদেশ ব্রেস্টফিডিং ফাউন্ডেশন (বিবিএফ) ও অন্যান্য সহযোগী
সংস্থার সহযোগিতায় বাংলাদেশে বিশ্ব মাতৃদুগ্ধ সপ্তাহ পালন করা হয়ে থাকে।
দ্বিতীয় দিনঃ শিশু পুষ্টি বিষয়ক
# প্রথম ৬ মাস শিশুকে শুধুমাত্র মায়ের দুধ খাওয়ান
# মায়ের দুধের উপকারীতা।
# মায়ের দুধ খাওয়ানোর ক্ষেত্রে সঠিক পজিশন এবং এট্যাচম্যান্ট।
# গুড়ো দুধের অপকারীতা।
শিশুকে মায়ের দুধ খাওয়ানোর কোনো
বিকল্প নেই। জন্মের ১ ঘণ্টার মধ্যে শিশুকে মায়ের দুধ দিলে মায়ের গর্ভফুল তাড়াতাড়ি পড়ে,
সহজে রক্তক্ষরণ বন্ধ হয়, ফলে মা রক্তস্বল্পতা থেকে রক্ষা পান। এছাড়াও দ্রুত দুগ্ধপানে
মায়ের জন্ম বিরতিতে সাহায্য করে, স্তন ও জরায়ুর ক্যান্সার এবং উচ্চ রক্তচাপের ঝুঁকি
কমায়।
বিশ্ব মাতৃদুগ্ধ সপ্তাহ / ২০২৩ উপলক্ষ্যে নির্মিত টিভিসি ও থিম সং
তৃতীয় দিনঃ ৬ মাস থেকে ২ বছর পর্যন্ত শিশুর পরিপুরক খাবার ও পুষ্টি বিষয়ক বিশেষ সেবা প্রদান ও কাউন্সেলিং
শিশুকে মায়ের দুধ না খাওয়ালে-
নিউমোনিয়াজনিত মৃত্যুর ঝুঁকি প্রায় ১৫ গুণ বৃদ্ধি পায়, ডায়রিয়ায় মৃত্যুর
ঝুঁকি প্রায় ১১ গুণ বৃদ্ধি পায়, শিশুদের অপুষ্টি ও অন্যান্য, কারণে মৃত্যুর ঝুঁকি প্রায়
১৪ গুণ বৃদ্ধি পায়, জন্ডিস, কানপাকা ও পরিপাকতন্ত্রের সংক্রমণসহ ডায়রিয়া হওয়ার আশংকা
বৃদ্ধি পায়। শারীরিক বৃদ্ধি ও বুদ্ধির বিকাশ বাধাগ্রস্থ হয়। বয়সের তুলনায় ওজন অতিরিক্ত
বৃদ্ধি পায়; দীর্ঘস্থায়ী রোগের (ডায়াবেটিস, হৃদরোগ, স্থুলতা) ঝুঁকি বৃদ্ধি পায়।
কোন ধরনের খাবার দিয়ে শুরু করবেন?
৬-৯ মাসঃ শুরু করুন বুকের দুধ দিয়ে,
তারপর বাইরের খাবার দিন।
চতুর্থ দিন ও ৫ম দিনঃ মাতৃ পুষ্টি বিষয়ক কাউন্সেলিং ।
কর্মজীবী মায়েদের শিশুকে ৬ মাস পর্যন্ত মায়ের দুধ খাওয়ানো এবং মায়ের দুধ গেলে বের করে সঠিক পদ্ধতিতে সংরক্ষন করে শিশুকে খাওয়ানো সর্ম্পকে কাউন্সেলিং।
৬ষ্ঠ দিনঃ মাতৃ ও শিশু স্বাস্থ্যের উপর খেড়কাটি সিসিতে বিশেষ সেবা প্রদান।
মায়ের দুধে শিশুর জন্য উপকারিতা :
● শিশুর শারীরিক ও মানসিক বিকাশের জন্য প্রয়োজনীয় সব উপাদান মায়ের দুধেই
আছে।
● খাবার সহজে হজম হয় এবং অ্যালার্জি হয় না।
● মায়ের দুধে অ্যান্টিবডি থাকে, যা শিশুর রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায় এবং
ডায়রিয়া, নিউমোনিয়া ও অন্যান্য সংক্রামক রোগ থেকে শিশুকে রক্ষা করে।
● মায়ের দুধ খেলে শিশুর বুদ্ধি বাড়ে, কৌটার দুধ খাওয়া শিশুদের তুলনায় তাদের
বুদ্ধি ৯ গুণ বেশি থাকে।
● মায়ের সঙ্গে আত্মার বন্ধন তৈরি হয়।
● শিশু ভালো মানুষ হয়ে বড় হয়, মায়ের মমতা ও ভালোবাসা পেয়ে বড় হওয়া শিশু
সব মানুষকে ভালোবাসতে শেখে।
শিশুকে মায়ের দুধ খাওয়লে মায়ের জন্য
উপকারিতা :
● মায়ের আত্মবিশ্বাস বাড়ায়
● মায়ের দুধ প্রাকৃতিক, যেকোনো অবস্থায়, যেকোনো সময় মা খাওয়াতে পারেন। কোনো
প্রস্তুতির প্রয়োজন পড়ে না।
● শিশুর জন্মের পর মায়ের রক্তক্ষরণ কম হয়।
● শুধু বুকের দুধ খাওয়ালে প্রাকৃতিকভাবে জন্মনিয়ন্ত্রণের কাজ করে।
● মায়ের জরায়ু ও স্তন ক্যানসার রোধ করে।
মায়ের দুধ সত্যিকার অর্থেই শিশুর জীবনের ভিত্তি, শুভসূচনা। আমাদের শিশুদের
সুস্থ ও সুন্দর করে গড়ে তুলতে আসুন আমরা সবাই যে যেখানে আছি, মাকে সাহায্য করি এবং
পরিবারের সবাইকে উদ্বুদ্ধ করি যেন তারা শিশুকে সফলভাবে মায়ের দুধ খাওয়াতে মাকে সহযোগিতা
করেন।
পরিবারের উপকারিতা
১. কৃত্রিম দুধ, দুধ তৈরির সরঞ্জামাদি ক্রয়ের খরচ বেঁচে যায়।
২. শিশু কম অসুস্থ হয়। তাই তাকে ডাক্তারের কাছে নিয়ে যাওয়ার সময় ও খরচ বাঁচে।
৩. পরিবারের অর্থ সাশ্রয় হয় এবং সর্বোপরি মায়ের তথা পরিবারের দুশ্চিন্তা
কম হয়।
বিশ্ব মাতৃদুগ্ধ সপ্তাহের সাত দিন ভিডিও
0 মন্তব্য(গুলি):