Resent Post
Loading...

ডেঙ্গু সচেতনতায় প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর কমিউনিটি ক্লিনিক।

দিনাজপুর জেলার চিরিরবন্দর উপজেলার খেড়কাটি কমিউনিটি ক্লিনিকে ডেঙ্গু বিষয়ক সচেতনতামূলক আলোচনা পরামর্শ প্রদান করেন সিএইচসিপি মো: ফরহাদ হোসেন। 

চারপাশ পরিষ্কার রাখি, ডেঙ্গু থেকে মুক্ত থাকি।

ডেঙ্গু মুক্ত দেশ চাই,পরিষ্কার পরিচ্ছন্নতার বিকল্প নাই, নিজ এলাকা পরিষ্কার রাখি, সবাই মিলে সুস্থ থাকি।


চারপাশ পরিষ্কার রাখি, ডেঙ্গু থেকে মুক্ত থাকি।


চারপাশ পরিষ্কার রাখি, ডেঙ্গু থেকে মুক্ত থাকি।

ডেঙ্গু প্রতিরোধে আসুন নিজে সতর্ক থাকি। অন্যকে সতর্ক করি।


ডেঙ্গু প্রতিরোধে আসুন নিজে সতর্ক থাকি। অন্যকে সতর্ক করি।


আতঙ্কিত না হয়ে সচেতন হোন।

তিন দিনে এক দিন, জমা পানি ফেলে দিন,

জনসচেতনতা ডেঙ্গু প্রতিরোধে সহায়ক শক্তি। 



ডেঙ্গু মুক্ত দেশ চাই,পরিষ্কার পরিচ্ছন্নতার বিকল্প নাই,


চারপাশ পরিষ্কার রাখি, ডেঙ্গু থেকে মুক্ত থাকি। *** ডেঙ্গু প্রতিরোধে আসুন নিজে সতর্ক থাকি। অন্যকে সতর্ক করি। **** ডেঙ্গু মুক্ত দেশ চাই, পরিষ্কার পরিচ্ছন্নতার বিকল্প নাই, নিজ এলাকা পরিষ্কার রাখি, সবাই মিলে সুস্থ থাকি। **** তিন দিনে এক দিন, জমা পানি ফেলে দিন জনসচেতনতা ডেঙ্গু প্রতিরোধে সহায়ক শক্তি। **** ডেঙ্গু জ্বর প্রতিরোধের মূল মন্ত্রই হল এডিস মশার বিস্তার রোধ এবং এই মশা যেন কামড়াতে না পারে, তার ব্যবস্থা করা। বাড়ির আশপাশের ঝোপঝাড়, জঙ্গল, জলাশয় ইত্যাদি পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন রাখতে হবে। ব্যবহৃত জিনিস যেমন, মুখ খোলা পানির ট্যাংক, ফুলের টব ইত্যাদিতে যেন পানি জমে না থাকে, সে ব্যবস্থা করতে হবে।


ডেঙ্গু সচেতনতার ভিডিও





ডেঙ্গু মুক্ত দেশ চাই,পরিষ্কার পরিচ্ছন্নতার বিকল্প নাই,

ডেঙ্গু জ্বর প্রতিরোধের মূল মন্ত্রই হল এডিস মশার বিস্তার রোধ এবং এই মশা যেন কামড়াতে না পারে, তার ব্যবস্থা করা। বাড়ির আশপাশের ঝোপঝাড়, জঙ্গল, জলাশয় ইত্যাদি পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন রাখতে হবে। ব্যবহৃত জিনিস যেমন, মুখ খোলা পানির ট্যাংক, ফুলের টব ইত্যাদিতে যেন পানি জমে না থাকে, সে ব্যবস্থা করতে হবে।

ডেঙ্গু প্রতিরোধে আসুন নিজে সতর্ক থাকি। অন্যকে সতর্ক করি।


ডেঙ্গু মুক্ত দেশ চাই,পরিষ্কার পরিচ্ছন্নতার বিকল্প নাই,







মোঃ ফরহাদ হোসেন



ভাল লাগলে শেয়ার করুন







ডেঙ্গু সম্পর্কীয়  সচরাচর জিজ্ঞাস্য



২. ডেঙ্গু মশা কামড়ালে কি ফুলে যায়?
যদিও ডেঙ্গুর জীবাণুবাহী মশার নাম এডিস এজিপ্টি, কিন্তু সাধারণ মানুষের মধ্যে এই মশা ডেঙ্গু মশা নামেও পরিচিত। ডেঙ্গু ভাইরাসবাহী এডিস মশা কামড়ালে ওই স্থানটি বেশির ভাগ ক্ষেত্রেই কিছুটা ফুলে যায় এবং চুলকায়। তবে অনেকের ক্ষেত্রে মশা কামড়ানো সত্ত্বেও ফুলে যাওয়া বা চুলকানি কোনটি নাও হতে পারে। তবে মশা রক্ত খাওয়ার জন্য যখন হুল ফোটায় তখন বেশির ভাগ মানুষ তা টের পান না। এর কারণ মশার হুল ফোটানোর আগে কিছুটা ব্যথানাশক ঘন তরল মানুষের ত্বকের ভেতর ছড়িয়ে দেয়। এতে কিছুক্ষণের জন্য ত্বকের ওই অংশটি অবশ হয়ে যায়। কিছুক্ষণ পর অবশ ভাব চলে গেলে ত্বকের ওই জায়গা একটু চুলকায় এবং ফুলে যায়। কীটতত্ত্ববিদ ডক্টর কবিরুল বাশার জানিয়েছেন, এডিস মশা কামড়ালে ক্ষতস্থানটি একটি মোটর দানার সমান বা তার চেয়ে কিছুটা অল্প জায়গাজুড়ে ফুলে যেতে পারে। তাই মশার কামড় থেকে বাঁচতে হাত ও পা ঢেকে রাখার পরামর্শ দিয়েছেন বিশেষজ্ঞরা। এছাড়া দিনে-রাতে মশারি ব্যবহার, দরজা জানালায় মশারোধী নেট ব্যবহার, সেইসঙ্গে মশা নিরোধক ক্রিম, স্প্রে, পঁ্যাচ ব্যান্ড ব্যবহার করা যেতে পারে। মশা তাড়াতে অ্যারোসল, কয়েল, ধুপ, ম্যাট, ব্যাটও ব্যবহার হয়ে থাকে। এক সময় বলা হতো ডেঙ্গু মশা শুধু দিনের বেলা কামড়ায়। কিন্তু এডিস মশা সম্প্রতি তাদের চরিত্র বদলেছে। এখন দিনে রাতে সব সময়ই কামড়ায়। এডিস এজিপ্টি, বিশেষ করে রাতে যদি ঘর আলোকিত থাকে।
৩. ডেঙ্গু মশা দেখতে কেমন?
অনেকেই জানতে চান, ডেঙ্গু মশা দেখতে কেমন? কীটতত্ত্ববিদ কবিরুল বাশার বলেছেন, ডেঙ্গুর জীবাণু বহনকারী এডিস মশা খালি চোখে দেখেও শনাক্ত করা সম্ভব। তিনি জানান, মশাটি মাঝারি আকারের হয়ে থাকে এবং এর গায়ে-পায়ে সাদা কালো ডোরাকাটা দাগ থাকে। তবে আর্মিগিয়ার নামে একটি মশার পেটেও একই ধরনের ডোরাকাটা দাগ রয়েছে। তবে, এ মশাটি আকারে একটু বড় হয়। অনেকে এই মশাটিকে এডিস এজিপ্টি বলে ভুল করে। আপনাকে যে মশা কামড়েছে সেটি এডিস কিনা নিশ্চিত হতে মশাটির পায়ের দিকে লক্ষ্য করতে হবে। শুধু এডিস মশার পায়েই ডোরাকাটা দাগ থাকে। এছাড়া পুরুষ মশার অ্যান্টেনা বা শুঙ্গটি কিছুটা রোমশ হয়ে থাকে। স্ত্রী মশার এমনটা থাকে না।
৪. মশা কামড়ালেই কি ডেঙ্গু হবে?
এডিস মশা কামড়ালেই যে মানুষের ডেঙ্গু জ্বর হবে, বিষয়টি তেমন নয় বলে জানিয়েছেন ডক্টর কবিরুল বাশার। তবে যে এডিস মশাটি ডেঙ্গু রোগের ভাইরাস বহন করছে, সেটি কামড়ালে ডেঙ্গু হতে পারে। আবার কোনো সুস্থ এডিস মশা যদি ডেঙ্গু আক্রান্ত রোগীর দেহ থেকে রক্ত পান করে তাহলে মশাটির মধ্যে ডেঙ্গুর ভাইরাস সংক্রমিত হবে। এরপর ওই ভাইরাসবাহিত মশা সংক্রমিত থাকা অবস্থায় যদি আবার সুস্থ কোনো মানুষের শরীরে কামড়ায় তাহলে ডেঙ্গু ছড়াতে পারে। যে কোনো মশার মতই এডিসও সাধারণত একাধিক ব্যক্তিকে কামড়ায়। তাই ভাইরাস জ্বরে আক্রান্ত কোনো ব্যক্তির শরীর থেকে এডিস মশার মধ্যে ভাইরাস সংক্রমণ হওয়ার পর ওই মশার কামড়ে ডেঙ্গু হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে।
৫. ডেঙ্গু মশা কোথায় থাকে, কোথায় ডিম পাড়ে?
এডিস মশা সাধারণত শুকনো ছায়াযুক্ত নিরাপদ স্থানে বিশ্রাম নেয়। এই মশাটি যে কোনো জমে থাকা পানিতে ডিম পাড়ে। সাধারণত পাত্রের কিনারার দিকে ডিম পেড়ে থাকে। 'এই ডিম ফুটে লার্ভা হয়, লার্ভা থেকে পিউপা হয়, পিউপা থেকে হয় পূর্ণাঙ্গ মশা' বললেন কীটতত্ত্ববিদ ডক্টর কবিরুল বাশার। জমে থাকা পানি পরিষ্কার বা নোংরা কিনা সেটা বিষয় নয়। পানিটি টানা কয়েকদিন স্থির থাকলে সেখানে ডিম ছাড়তে পারে এডিস মশা। এক সময় বলা হতো এডিস মশা পরিষ্কার পানিতে বংশ বিস্তার করে। তবে সাম্প্রতিক এক গবেষণায় সেই বৈশিষ্ট্যেও পরিবর্তন দেখা গিয়েছে। সম্প্রতি ঢাকা সিটি করপোরেশনের অভিযানে পুরনো টায়ার, ড্রাম, বালতি বা ফেলে দেয়া বোতল বা পাত্র, ডাব বা নারিকেলের খোলে জমা পানি, চৌবাচ্চা, নির্মাণাধীন ভবনে জমে থাকা পানি, ফুলের টব, ইটের গর্ত এমনসব স্থানে মশার লার্ভা পাওয়া গেছে। সাধারণত জমা পানি ফেলে দিলে কিংবা ওই পানিতে সাবান বা বিস্নচিং মেশানো পানি ছিটিয়ে দিলে মশার ডিম ধ্বংস হয়ে যাবে।।
৭. ডেঙ্গু জ্বর কতদিন থাকে?
চিকিৎসকদের মতে, ডেঙ্গু জ্বর সাধারণত দুই ধরনের হয়ে থাকে- ক্লাসিক্যাল এবং হেমোরেজিক। ক্লাসিক্যাল ডেঙ্গু সাধারণত পাঁচ থেকে সাত দিনের মধ্যে সম্পূর্ণ ভালো হয়ে যায়। সর্বোচ্চ ১০ দিন পর্যন্ত সময় লাগতে পারে। তবে হেমোরেজিক ডেঙ্গু নিয়ে উদ্বেগের কথা জানিয়েছেন চিকিৎসকরা। চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজের মেডিসিন বিভাগের অধ্যাপক অনিরুদ্ধ ঘোষ বলেছেন, সাধারণত জ্বর সারার পরপরই অনেকের পস্ন্যাটিলেট এবং রক্তচাপ কমতে শুরু করে। কিছু কিছু রোগীর ক্ষেত্রে জ্বরের তিন দিনের মধ্যেও পস্ন্যাটিলেট কমতে দেখা গেছে। যদিও পস্ন্যাটিলেট একবার কমার পর সেটি ৪৮ ঘণ্টা থেকে ৭২ ঘণ্টার মধ্যে স্বাভাবিক অবস্থায় ফিরতে শুরু করে।
৮. ডেঙ্গু হলে কী খাবার খেতে হয়?
ডেঙ্গু হলে রোগীকে স্বাভাবিক সব ধরনের নরম খাবার খেতে দেয়ার পরামর্শ দিয়েছেন অধ্যাপক ডা. অনিরুদ্ধ ঘোষ। সেইসঙ্গে বাড়িতে ফল থেকে বের করা জুস, সু্যপ, ডাবের পানি, ওরস্যালাইন, বা অন্যান্য তরল খাবার প্রচুর পরিমাণে দেয়া যেতে পারে। এগুলো শরীরের পানি এবং ইলেক্ট্রোলাইট ভারসাম্য বজায় রাখতে সাহায্য করবে। তবে ডায়বেটিসে আক্রান্ত রোগীর ক্ষেত্রে খাবারে কিছু বিধিনিষেধ থাকতে পারে। এক্ষেত্রে চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে হবে। 'খাবারের মধ্যে ভারসাম্য থাকতে হবে, অনেককে দেখেছি দিনে ১০-১২টা ডাব খেতে, অনেকে লিটারে লিটারে পানি খাচ্ছে এগুলো অস্বাভাবিক। আবার কিছু না করাও ঠিক না। যদি কারও দিনে তিন চার ঘণ্টা পর পর প্রস্রাব হয়, প্রস্রাবের রং হলুদ না হয়, তারমানে তার আর্দ্রতা স্বাভাবিক আছে। বললেন অধ্যাপক ঘোষ।
২০.ডেঙ্গু প্রতিরোধের উপায় কি ?
ডেঙ্গু জ্বর সম্পর্কে সচেতন থাকতে বাড়ির আশপাশ পরিষ্কার রাখতে হব, ঘরের ভিতরে যদি নষ্ট ফুলের টক কিংবা ভাঙ্গা প্লাস্টিকের বোতল,ডাবের খোসা, তাই আর অথবা পলিথিন থাকলে তা দ্রুত পরিষ্কার করে ফেলতে হবে। মশা নিধরনের জন্য সপ্তাহে ৩ থেকে ৪ বার স্প্রে বা ফকিং করুন এমন ধরনের পোশাক পড়তে হবে যা শরীরের অনেক অংশই ঢেকে রাখা যায় জানালায় নেট ব্যবহার করতে পারেন, হাতে পায়ে বা শরীরে মশারদী ক্রিম ব্যবহার করতে পারেন, বাড়ির বাইরে বের হওয়ার সময় মশা নিধনের ক্রিম ব্যবহার করতে পারেন, সন্ধ্যার পর থেকে বাড়ির সকল সদস্যরা মশারি ব্যবহার করতে পারেন, যেখানে যেখানে বৃষ্টির পানি জমে থাকে,খুব তাড়াতাড়ি সেগুলো পরিষ্কার করে ফেলুন।কারণ বৃষ্টির পানিতে ‘এডিস মশ’ ডিম পাড়ে। মশার প্রকোপ থেকে বাঁচতে মশারি ব্যবহারের পাশাপাশি মেদ ব্যবহার করতে পারেন, ‘এডিস মশা’ মূলত দিনের বেলায় কামড়ায়, তাই দিনের বেলা ঘুমালে অবশ্যই মশারি টানিয়ে ঘুমানোর দিকে লক্ষ্য রাখতে হবে।



0 মন্তব্য(গুলি):