গত ৫৪ বছরে স্বাস্থ্য খাতে সবচেয়ে বড় সংস্কার কমিউনিটি ক্লিনিক।
১৯ আগষ্ট /২৫ স্বাস্থ্য শিক্ষা বিভাগে কমিউনিটি ক্লিনিক স্বাস্থ্য সহায়তা ট্রাস্ট এর কার্যক্রম জোরদারকরণ বিষয়ক কর্মশালা, প্রধান অতিথি হিসাবে উপস্থিত ছিলেন, ডা. মোঃ সারোয়ার বারী, সচিব, স্বাস্থ্য শিক্ষা ও পরিবার কল্যাণ বিভাগ।
বাংলাদেশের সংবিধানের অনুচ্ছেদ ১৮(১) তে বলা আছে, জনগণের পুষ্টি স্তর-উন্নয়ন ও জনস্বাস্থ্যের উন্নতিসাধনকে রাষ্ট্র অন্যতম প্রাথমিক কর্তব্য বলে গণ্য করবেন। এতে স্পষ্ট যে, সমগ্র বাংলাদেশের, বিশেষ করে গ্রামাঞ্চলের মানুষের চিকিৎসা, পুষ্টি স্তর-উন্নয়ন ও জনস্বাস্থ্যের উন্নতিসাধন করা রাষ্ট্রের কর্তব্য। আর রাষ্ট্রের সেই কর্তব্য পালনের অগ্রাধিকারমূলক পদক্ষেপ হচ্ছে কমিউনিটি ক্লিনিক (সিসি) – Community Clinic (CC) ।
গত
৫৪ বছরে স্বাস্থ্য খাতে সবচেয়ে বড় ও কার্যকরী
সংস্কার হিসেবে বিবেচিত হয় ওয়ার্ড লেভেলে
প্রান্তিক স্বাস্থ্য সেবায় কমিউনিটি ক্লিনিক স্থাপন। এটি বাংলাদেশের স্বাস্থ্যসেবা ব্যবস্থায় এক বৈপ্লবিক পরিবর্তন
এনেছে। ১৯৯৮ সালে তৎকালীন সরকার কমিউনিটি ক্লিনিক প্রকল্প চালু করে, যার লক্ষ্য ছিল প্রতিটি ৬,০০০ জনগোষ্ঠীর
জন্য একটি করে ক্লিনিক স্থাপন করা। এই উদ্যোগের মাধ্যমে
স্বাস্থ্যসেবা মানুষের দোরগোড়ায় পৌঁছে গেছে, বিশেষ করে গ্রামীণ ও প্রান্তিক জনগণের
জন্য।
স্বাস্থ্য খাতে সংস্কারঃ
কমিউনিটি ক্লিনিকের
অর্জন ও সফলতা:
১। গত ৫৪ বছরে স্বাস্থ্য খাতে সবচেয়ে বড় সংস্কার হলো ওয়ার্ড লেভেলে প্রান্তিক স্বাস্থ্য
সেবায় কমিউনিটি
ক্লিনিক স্থাপন।
২। পৃথক একটি দপ্তর তথা ট্রাস্ট
করা স্বাস্থ্য
সেবায় আর একটি বড় সংস্কার।
৩। ১৪ হাজার CCতে বছরে ১৬ কোটি সেবা গ্রহীতাকে সেবা দেয়া হয়। গত ১৫-২৫ বছরে প্রায় ২১৬ কোটি সেবা গ্রহীতাকে বিভিন্ন
ধরনের সেবা দেয়া হয়েছে।
৪। ১৪ হাজার সার্ভিস
প্রোভাইডারের চাকরী সরকারী হওয়ায় তাদের কাজের গতিশীলতা বেড়েছে।
৪। ডায়াবেটিক,
প্রেশার ফাইন্ডআউট
করে চিকিৎসার
আওতায় আনা হচ্ছে। NCD রোগগুলোকে
প্রাধান্য দেয়া হচ্ছে।
৫। জ্বর সর্দি কাশী চুলকানী মাথাব্যথা,
ছোটখাট একসিডেন্টের
চিকিৎসা দেয়া হয় প্রান্তিক
৭০% হতদরিদ্র
মানুষকে।
৬। সুস্থ মহিলাকে সারাজীবনের
জন্য পংগু বানানোর হাত থেকে বাঁচানোর
জন্য নরমাল ডেলিভেরি করানো হয় এবং তাতে উৎসাহিত
করা হয়। মনে রাখতে হবে এটি একটি Natural process.
৭। লোকাল প্রশাসন তথা ডিসি ইউএনও কে সম্পৃক্ত
করার ফলে প্রান্তিক স্বাস্থ্য
সেবা আর্থিক সহায়তা পাচ্ছে এবং সিসিগুলো
সাবলীল গতিতে চলছে।
৮। বিশ্বের
৭০ টি দেশ ও আন্তর্জাতিক সংস্থার
কাছে ওয়ার্ড লেভেলে এই সেবা সমাদৃত হয়েছে। জাতিসংঘের
মহাসচিব বান কি মুন এই কমিউনিটি
ক্লিনিক বিজিট করে ভূয়সী পৃরশংসা করেছে।
১০। ১৪ হাজার সিসি বলতে গেলে একটি হাব হিসেবে প্রতিষ্ঠিত
হয়েছে। এটি এলাকায় একটি শক্তিশালী Plat form হিসেবে
গড়ে উঠেছে। এছাড়া এখানে ১৭ টি রেজিস্টারে যে পরিমান ডাটা তৈরী হচ্ছে তা দিয়ে নানা রকম গবেষণা চলছে।
সূত্রঃ- ব্যবস্থাপনা
পরিচালনা মহোদয়, কমিউনিটি ক্লিনিক
স্বাস্থ্য সহায়তা ট্রাস্ট।
0 মন্তব্য(গুলি):