Hemochek Hemoglobin Color Scale (হিমোগ্লোবিন কালার স্কেল ) দ্বারা হিমোগ্লোবিন পরিমাপ নির্নয়।
রক্তের হিমোগ্লোবিন Hb% পরীক্ষা ?
Hemochek Hemoglobin Color Scale (হিমোগ্লোবিন কালার স্কেল ) দ্বারা হিমোগ্লোবিন পরিমাপ নির্নয়।
খুব সহজেই রক্তে হিমোগ্লোবিনের পরিমাণ নির্ণয় করা যায় । কেউ ইচ্ছা করণৈ নিজেই কোনো ভালো প্যাথলজিতে Hb./. অথবা কমিউনিটি ক্লিনিকে টেস্টের মাধ্যমে তা জেনে নিতে পারেন।
রক্তশূণ্যতা বা অ্যানিমিয়ার লক্ষন:
যেমন-
Hemochek Hemoglobin Color Scale (হিমোগ্লোবিন কালার স্কেল ) দ্বারা হিমোগ্লোবিন পরিমাপ নির্নয়।
হিমোগ্লোবিনকালার স্কেল দ্বারা হিমোগ্লোবিন পরিমাপ নির্নয়-
আপনার কি খুব সহজেই ক্লান্ত লাগে, মাথা ঘোরায় কিংবা
নিশ্বাস বন্ধ হয়ে আসছে? তাহলে দেরি না করে খেড়কাটি কমিউনিটি ক্লিনিকে অথবা আপনার নিকটস্থ্য কমিউনিটি ক্লিনিকে হিমোগ্লোবিনের
মাত্রা পরীক্ষা করুন।
কারন-আপনার হতে পানে অ্যানিমিয়া বা রক্তস্বল্পতা ।
কারন-আপনার হতে পানে অ্যানিমিয়া বা রক্তস্বল্পতা ।
হিমোগ্লোবিন কি ?
হিমোগ্লোবিন হলো এক ধরনের প্রোটিন। এটি মানুয়ের শরীরে
লোহিত রক্ত কণিকার মধ্যে থাকে। এটা আমাদের শরীরে অক্সিজেন পরিবহনে সাহায্য করে।
মানুষের শরীরের ভেতর প্রতিটি জায়গায় অক্সিজেন পৌছে দেয়ার কাজ হলো হিমোগ্লোবিন । রক্ত
হিমোগ্লোবিন পরিমাণ কমে গেলে অক্সিজেন সরবরাহ ও কমে যায় ।
রক্তশূণ্যতা বা অ্যানিমিয়া মানের রক্ত কমে যাওয়া নয়। বরং রক্তের উপাদান লোহিত কণিকায় হিমোগ্লোবিনের পরিমান কমে গেলেই রক্ত শূন্যতা দেখা
দেয়।
বিশেষ করে গর্ভবতী মা ও নারীরা রক্ত শূন্যতায় বেশি
আক্রান্ত হয় । রক্ত শূন্যতা কখনো কখনো মারাক্তক হতে পারে । যেমন গর্ভকালীণ অধিক
মৃত্যু হারের অন্যতম কারণ এই রক্ত শূন্যতা।
CHCP কিভাবে হিমোগ্লোবিন পরীক্ষা করে / করবে ?
হিমোগ্লোবিন(লাল রক্ত কনিকা) পরিমাপের হিমোগ্লোবিন কালার স্কেলের গায়ে রক্তে
হিমোগ্লোবিন মাত্রা শতকরাতে (১০,২০,৪০,৫০ ইত্যাদিদ শতাংশ ) দেয়া আছে। কিন্তু
ল্যাবে পরীক্ষা সময় শতাংশে পরিমাপ না করে আন্তর্জাতিক হিসেবে গ্রাম পরা ডেসিলিটারে
(gm/dl) প্রকাশ করা
হয়।
পুরুষ কিংবা নারীর এক ফোটা রক্ত হিমোগ্লোবিন
কালার স্কেলের শোষক কাগজে রক্ত নিযে ৪০/৪৫ সেকন্ডে পর শোষক কাগজের রক্তের সাথে
কালার স্কেলের বিভিন্ন কালার বর্ডারের সাথে ম্যাচ করে দেখাতে হবে।
ধরা যাক, একজন গর্ভবতী মায়ের রক্তের রং স্কেলের ৮০ এর
কালার বর্ডারের সাথে মিলে গেছে। এবার ৮০ কে ৬.৬৭ দ্বরা ভাগ করলে তা গ্রাম পার ডেসিলিটারে প্রকাশ করা যায় ।
অর্থাৎ উক্ত গর্ভবতী মায়ের রক্তে হিমোগ্লোবিন মাত্রা হবে-
৮০/৬.৬৭ = ১১.৯৯
এভাবে
পুরুষদের ক্ষেত্রে ও রক্তে হিমোগ্লোবিন মাত্রা বের করা যায় ।
হিমোগ্লোবিন স্বাভাবিক মাত্রা:
শিশুদের রক্তে হিমোগ্লোবিনের স্বাভাবিক ১১ থেকে ১৬
গ্রাম/ ডেসিলিটার,
পুরুষের রক্তে হিমোগ্লোবিনের স্বাভাবিক
মাত্রা-১৩.৫ গ্রাম/ডেসিলিটার হতে ১৭.৫ গ্রাম/ডেসিলিটার,
মহিলার রক্তেহিমোগ্লোবিনের স্বাভাবিক মাত্রা ১১.৫ গ্রাম/ডেসিলিটার হইতে ১৫.৫গ্রাম/ডেসিলিটার,
খুব সহজেই রক্তে হিমোগ্লোবিনের পরিমাণ নির্ণয় করা যায় । কেউ ইচ্ছা করণৈ নিজেই কোনো ভালো প্যাথলজিতে Hb./. অথবা কমিউনিটি ক্লিনিকে টেস্টের মাধ্যমে তা জেনে নিতে পারেন।
রক্তশূণ্যতা বা অ্যানিমিয়ার লক্ষন:
বেশি ভাগ
মানুষের ক্ষেত্রেই অ্যানিমিয়ার নিদিষ্ট লক্ষন শনাক্ত করা যায় না।
তবে নিম্ন
লিখিত লক্ষন থাকলে রক্ত পরীক্ষা কার খুবই জরুরি -
যেমন-
- শরীর ফ্যাকাসে খাকবে ও প্রচুর ঘাম হবে।
- বুক ধড়পড় করবে
- নাড়ির স্পন্দন দ্রুত হবে ।
- শ্বাসকষ্ঠ
- মাথা ঘোরানো বা ঝিমঝিম করা, সঙ্গে মাথা ব্যথাও থাকতে পারে।
- চোখে ঝাপসা কিংবা কম দেখা।
- মুখের কোণে ও জিহ্বায় ঘা হতে পারে ।
- দুর্বলতা ও ক্লান্তিভাব, হজম সমস্যা এবং পুরো শরীর ফুলে যায়।
- পা ফুলে যাওয়া সঙ্গে শ্বাসকাষ্ট ও থাকতে পারে ।
- অনিদ্রা কিংবা ঘুম কম হতে পারে। হৃদপিন্ড বড় হয়ে যায় এবং দ্রুত হার্টবিট হতে থাকে।
কাদের অ্যানেমিয়া হওয়ার সম্ভাবনা বেশি ?
- যেসব নারীদের ঋতুস্রাবের সময় রক্ত পাত অনেক বেশি হয়।
- গর্ভবতী নারির।
- দীর্ঘদিন ধরে কিডনির রোগে ভুগছেন যারা।
- যে কোর ধরনের ক্যানসারে, বিশেষ করে রক্তের কোন ক্যানসারে আক্রান্ত রোগীরা।
- পেটে কৃমি হলে।
- যারা অপুষ্টর শিকার।
- নিরামিষাশী
- এইচআইভি কিংবা হেপাটাইটিস সি আক্রান্ত রোগীরা।
- বংশে কারো অ্যানিমিয়া থাকলেও হতে পারে।
জনকল্যাণ
স্বার্থে অবশ্যই এই পোস্টটি শেয়ার করুন আপনার কাছের মানুষদের “সুস্থ্য রাখুন এ
সুস্থ্য থাকুন”
0 মন্তব্য(গুলি):