একজন দক্ষ প্রশিক্ষক হবেন যেভাবে || How to be an expert trainer.
প্রশিক্ষণ কাকে বলে?
প্রতিষ্ঠানে নিয়োজিত কর্মীদের নিকট হতে স্বেচ্ছায় ও স্বতঃস্ফূর্তভাবে কাজ পাওয়ার লক্ষ্যে হাতে কলমে যে পেশাগত জ্ঞান ও দক্ষতা বৃদ্ধির শিক্ষা দেওয়া হয় তাকে প্রশিক্ষণ বলে।
প্রশিক্ষণ একজন পেশাজীবিকে দক্ষ করে
তোলে। নিজের যোগ্যতাকে শানিত করতে প্রশিক্ষণের বিকল্প নেই। ভালো প্রশিক্ষণের জন্য প্রয়োজন
হয় দক্ষ প্রশিক্ষকের। একজন দক্ষ প্রশিক্ষকের কিছু কিছু বিষয়ের দিকে খেয়াল রাখতে হয়।
অন্যভাবে বলতে গেলে বলতে হয়- একজন দক্ষ প্রশিক্ষকের মাঝে কতিপয় গুণাবলী থাকতে হয়। একজন
দক্ষ প্রশিক্ষকের প্রশিক্ষণ শুরুর পূর্বে, প্রশিক্ষণের
সময় এবং প্রশিক্ষণ শেষে যা করণীয়, তা নিম্নে উল্লেখ করা হলো।
প্রশিক্ষণ শুরুর
পূর্বে প্রশিক্ষকের করণীয়ঃ
১। অধিবেশন শুরুর পূর্বে ম্যানুয়ালটি ভালভাবে পড়তে হবে এবং প্রতিটি অধিবেশনের
গুরুত্বপূর্ণ দিকগুলো নোট করে নিতে হবে, যাতে করে যথাযথভাবে প্রস্তুতি নেয়া যায়।
পূর্ব প্রস্তুতি এমনভাবে নিতে হবে যেন, বিষয়বস্তু উপস্থাপনে জড়তা না থাকে।
২। উপকরণ সামগ্রী তৈরি এবং অধিবেশনের ক্রমানুযায়ী সংরক্ষণ করতে হবে।
যেমন:- (ক) প্রতিদিনের
কর্মসূচি। (খ) ঐ দিনের অধিবেশনসমূহের জন্য প্রয়োজনীয় চার্ট, ফটোকপি ও অন্যান্য উপকরণ
প্রেজেন্টটেশন।
(৩) দল গঠনের জন্য প্রয়োজনীয় উপকরণ।
৪। প্রশিক্ষণ আয়োজন করার জন্য প্রয়োজনীয় চেকলিস্ট এবং নিম্নলিখিত বিষয়গুলো
নিশ্চিত করতে হবে:-
(ক) আসন বিন্যাস। (খ) ল্যাপটপ, মাল্টিমিডিয়া, ডিসপ্লে বোর্ড, হোয়াইট বোর্ড, ফ্লিপচার্ট
ষ্ট্যান্ড।
(গ)প্রয়োজনীয়
চার্ট, কার্ড, পোস্টার পেপার, মার্কার পেনসহ অন্যান্য সামগ্রী।
(ঘ) প্রি এবং পোস্ট
টেস্টের জন্য প্রশ্নপত্রের ফটোকপি ইত্যাদি।
৫। ম্যানুয়ালের সাপ্লিমেন্টারী কোন বই থাকলে তা সংগ্রহ করতে হবে। প্রশিক্ষণের
সময় বইগুলো ব্যবহার করার প্রয়োজন হতে পারে।
৬। প্রশিক্ষণ কক্ষের বাইরে প্রশিক্ষণার্থীদের নিয়ে গেলে পূর্বেই স্থানটি
নির্বাচন করবেন। প্রত্যাশিত সামগ্রী ও পরিবেশ সম্পর্কে নিশ্চিত হবেন। প্রশিক্ষণার্থীদের
সাথে থাকবেন এবং প্রয়োজনীয় দিক নির্দেশনা দেবেন।
প্রশিক্ষণের সময় প্রশিক্ষকের করণীয়ঃ
(১) ম্যানুয়ালের নির্দেশনা যথাযথভাবে
পালন করতে হবে।
(২) সময়ের যথাযথ ব্যবহার করতে হবে।
কোন অবস্থাতেই যেন অধিবেশনের এবং কাজের জন্য নির্দিষ্ট সময় অতিক্রান্ত না হয়, সেদিকে
দৃষ্টি দিতে হবে। দুই জন প্রশিক্ষক সময়ের ব্যাপারে একে অপরকে সচেতন করে দিবেন।
(৩) প্রশিক্ষণের সময় প্রদত্ত বক্তব্য
সংক্ষিপ্ত কিন্তু বিষয়ানুগ হতে হবে। এ বিষয়টি প্রশিক্ষক এবং প্রশিক্ষণার্থী, উভয়ের
ক্ষেত্রে প্রযোজ্য। কোন একটা বিষয়ে অযথা আলোচনা এড়াতে হবে।
(৪) প্রশিক্ষণে সকলের সক্রিয় অংশগ্রহণ
নিশ্চিত করতে হবে। অংশগ্রহণকারীদের বিদ্যমান ধারণা/জ্ঞানকে কোন বিষয়বস্তু আলোচনার
সময় কাজে লাগাতে হবে।
(৫) নিজেকে প্রশিক্ষণার্থীদের সহায়ক
মনে করতে হবে।
(৬) দল গঠনে আকর্ষণীয় বিভিন্ন কৌশল
অবলম্বন করতে হবে।
(৭) সর্বদা হাসি-খুশি থাকতে হবে।
(৮) কথা বলা, হাঁটা-চলা এবং উপস্থাপনে
মার্জিত শারীরিক ভাষা প্রয়োগ করতে হবে।
(৯) প্রশিক্ষণার্থীদের শ্রবণযেগ্য
স্বরে এবং শুদ্ধ উচ্চারণে চলিত রীতিতে কথা বলতে হবে।
(১০) যাবতীয় উপস্থাপন পদ্ধতি ও
কৌশলে অংশগ্রহণকারীদের সাথে দৃষ্টি সংযোগ বজায় রাখতে হবে।
(১১) প্রি টেস্ট ও পোস্ট টেস্ট যথাযথভাবে
গ্রহণ করতে হবে।
প্রশিক্ষণ শেষে প্রশিক্ষকের করণীয়ঃ
(১) প্রশিক্ষণকক্ষ পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন
রাখার ব্যবস্থা করতে হবে।
(২) পরবর্তী দিনের জন্য আসন বিন্যাস
করতে হবে।
(৩) প্রয়োজনীয় সামগ্রী সাজিয়ে
রাখতে হবে।
(৪) প্রশিক্ষণ ম্যানুয়াল অনুযায়ী
পরবর্তী দিনের জন্য উপকরণাদি প্রস্তুত ও সংগ্রহ করতে হবে।
প্রশিক্ষণের মাধ্যমে একজন কর্মী তার কার্য সম্পাদন বিষয়ে বাস্তব জ্ঞান, দক্ষতা, যোগ্যতা ও অভিজ্ঞাতা অর্জন করতে পারে। কার্য সম্পাদনের সর্বশেষ কৌশল অর্জন করতে ও তার কাজটি দক্ষতার সাথে করতে পারে। তাই প্রশিক্ষণ হলো কর্মীর সাফল্যের চাবিকাঠি।
Training House Rules:
1. Be on time.
2. Respect each other's opinions.
3. Raise your hands to say something.
4. Be nice to each other.
5. Avoid side-talking.
6. Let others speak.
7. Ask if you do not understand.
8. Do not interrupt when someone is speaking.
9. Participate actively.
10. Keep mobiles silent/off.
11. Have fun!
প্রশিক্ষণের
লক্ষ্য ও উদ্দেশ্যঃ
১. প্রশিক্ষণ একজন কর্মীর সুস্থ চিন্তাধারা, কর্মপদ্ধতি, নৈপূণ্য, দৃষ্টিভঙ্গি
এবং মানসিকতার বিকাশ সাধন করে
২. নবনিযুক্ত কর্মীদের পেশাগত জ্ঞান ও দক্ষতার বিকাশ ঘটায় এবং তার কর্তব্য
সম্পর্কে সচেতন করে তোলে ।
৩. প্রশিক্ষণের মাধ্যমে একজন কর্মী নতুন পদ্ধতি ও প্রক্রিয়াতে শিক্ষা লাভ
করে সংগঠনের নতুন পরিবেশের সাথে সংগতি বিধান করে চলতে পারেন।
৪. প্রশিক্ষণ ব্যবস্থার মাধ্যমে কর্মীদের গণমুখী ও জনগণের প্রতি আন্তরিকতাবোধ
ও মমত্ববোধের উন্মেষ ঘটে।
৫. কর্মীদের বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিষয়ে জ্ঞানদান করে ও বিকাশ ঘটায় ।
৬. প্রশিক্ষণের মাধ্যমে একজন কর্মী অধিকতর নৈপুণ্য অর্জন ও পদোন্নতির জন্য
যোগ্যতা অর্জন করে।
৭. প্রশাসনিক দুর্বলতা ও দোষত্রুটি কাটিয়ে ওঠার জন্য প্রশিক্ষণ ব্যবস্থার
মাধ্যমে তাদের উপযুক্ত ও দক্ষ করা হয়।
৮. প্রশিক্ষণ কর্মীদের উচ্চতর ও অধিকতর দায়িত্ব পালনের সামর্থ্যকে বিকশিত
করে।
৯. প্রশিক্ষণের মাধ্যমে সংগঠনের সর্বপ্রকার পরিবর্তন ও নতুন উদ্ভূত পরিস্থিতি
সম্পর্কে কর্মীদের মধ্যে সংগতি বিধান করা হয় যাতে প্রত্যেক কর্মী প্রতিষ্ঠানের পরিবর্তন
সম্পর্কে অবগত হতে পারে।
অন্যান্য পোষ্ট পড়ুন
খেড়কাটি সিসিতে আসুন, সেবা নিন সুস্থ্য থাকুন
শেখ হাসিনার অবদান, কমিউনিটি ক্লিনিক বাঁচায় প্রাণ
ভাল লাগলে শেয়ার প্লিজ
অন্যান্য পোষ্ট: |
0 মন্তব্য(গুলি):