প্রাথমিক স্বাস্থ্য সেবায় কমিউনিটি ক্লিনিকের ভুমিকা অতুলনীয়
কমিউনিটি ক্লিনিকের মূল উদ্দেশ্য হলো গ্রামীণ জনগণকে (বিশেষ করে দরিদ্র জনগোষ্ঠীকে) স্বাস্থ্য, পরিবার পরিকল্পনা ও পুষ্টি সেবা প্রদানের মাধ্যমে সার্বিক স্বাস্থ্য পরিস্থিতির উন্নতি ঘটানো।
নির্দিষ্টকৃতভাবে এই লক্ষ্যসমূহকে নিম্নরূপ -
১। বাংলাদেশের গ্রামীণ জনগোষ্ঠী, বিশেষ করে দরিদ্র, প্রান্তিক ও দুঃস্থ জনগোষ্ঠীকে মানসম্পন্ন প্রাথমিক স্বাস্থ্যসেবা প্রাপ্তির নিশ্চয়তা দেয়া।
২। একটি সমন্বিত উপজেলা স্বাস্থ্য ব্যবস্থা ও জেলা স্বাস্থ্য ব্যবস্থার অধীনে সকল কমিউনিটি ক্লিনিককে প্রাতিষ্ঠানিকীকরণ এবং বিশেষ স্বাস্থ্য সমস্যার ব্যবস্থাপনার প্রয়োজনে ইউনিয়ন ও উপজেলা পর্যায়ের স্বাস্থ্য সেবা কাঠামোর সাথে কমিউনিটি ক্লিনিকসমূহের একটি কার্যকরি রেফারেল লিংকেজ স্থাপন।
৩। নবজাতক, শিশু ও মাতৃস্বাস্থ্য সেবার মান উন্নয়ন।
৪। বয়োজ্যেষ্ঠ নাগরিক, কিশোর, তরুণ, প্রতিবন্ধী ও সুবিধা বঞ্চিত নাগরিকদের স্বাস্থ্য সেবা প্রদান।
৫। সর্বস্তরের জনগোষ্ঠীর জন্য ই-স্বাস্থ্য সেবা প্রদানের মূখ্য কেন্দ্র হিসেবে কাজ করা।
৬। সকল পর্যায়ের স্বাস্থ্য, পরিবার পরিকল্পনা ও পুষ্টি সেবা প্রদানের কার্যকরি সমন্বয়ক ও সহযোগী প্রতিষ্ঠান হিসেবে কমিউনিটি ক্লিনিক ব্যবস্থাকে সংগঠিত করা।
কমিউনিটি ক্লিনিক স্থাপনের আরেকটি মূখ্য উদ্দেশ্য হলো জনগণের অংশগ্রহণের মাধ্যমে ইউনিয়ন ও উপজেলা পর্যায়ের স্বাস্থ্য সেবা কাঠামোর মাঝে একটি কার্যকরি সংযোগ স্থাপনের মাধ্যমে স্বাস্থ্য, পরিবার পরিকল্পনা ও পুষ্টি সেবা প্রদানের মান উন্নয়ন করা।
১ টি কমিউনিটি ক্লিনিকের কার্যক্রম
0১. সরকারী নীতি অনুযায়ী কমিউনিটি গ্রূপ ও কমিউনিটি সাপোট ০৩টি গ্রূপ গঠন। দেখুন
0২. নিয়মিত কমিউনিটি গ্রূপের সভা আয়োজন ও সভা সিদ্ধান্ত সমুহ লিপিবদ্ধকরন এবং সংশ্লিষ্ট বিভাগে প্রেরণ। দেখুন
0৩. নিয়মিত কমিউনিটি গ্রূপ ও সাপোট গ্রূপের সভার আয়োজন নোটিশের মাধ্যমে কর হয়। দেখুন
0৪. নিয়মিত উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স থেকে ঔষধ গ্রহন এবং রেজিষ্টারে লিপিবদ্ধকরন করা হয়। দেখুন
0৫. ঔষধ সরবরাহের ভিত্তিতে নিয়ম অনুয়ায়ী প্রতিদিন রোগীদের বিনা মূল্যে সেবা প্রদান এবং রেজিষ্টারে লিপিবদ্ধকরন করা হয়। দেখুন
0৬. ইউনিয়ন পরিষদের সাথে নিয়মিত সমন্বয় সভা করা এবং ক্লিনিক ভিত্তিক সমস্যা সমাধানের জন্য ইউপির সহযোগিতা ও পরামর্শ গ্রহন করা। দেখুন
0৭. ক্লিনিক নিয়মিত পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন রাখা হয়। দেখুন
0৪. গর্ভবতী মা ও শিশু অনলাইনে নিবন্ধন করা। দেখুন
0৯. মাসিক রোগীর প্রতিবেদন অনলাইনে ডাটা এন্টির মাধ্যমে এবং হার্ডকপি উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে দেওয়া হয়। দেখুন
১০. কিশোর কিশোরীদের স্বাস্থ্য সচেতনমুলক সেবা ও প্রবিনদের জন্য স্বাস্থ্য পরিচর্যা সেবা এবং কুসংষ্কার দুরীকরনে কাউনসেলিং করা। দেখুন
১১. বিভিন্ন দিবন পালন করা হয়। দেখুন
১২. সরকারী ছুটির দিন ব্যতিত সকাল ৯.০০ থেকে ৩.০০ পযন্ত সিসি খোলা রাখা সেবা দান। দেখুন
১৩. স্থানীয় ভাবে সম্পদ সংগ্রহ, ব্যবহার এবং ব্যাংক হিসাবের মাধ্যামে আয়-ব্যয়ের হিসাব পরিচালনা ও সংরক্ষন করা হয়। দেখুন
১৪. জটিল রোগীর উন্নত চিকিৱসার জন্য রেফার করা হয়। দেখুন
১৫. ইউনিয়ন পরিষদ, পৃষ্টপোষক কমিটির সাথে সাথে সমন্বয় সাধন করা। দেখুন
১৬. GMP কার্ডে শিশুর পূষ্টি নির্ণয় করা ও মনিটরিং করা দেখুন
১৭. রক্তে গ্লুকোজের মাত্রা নির্ণয় (RBS) দেখুন
১৮. গর্ভবতীমাদের নিয়মিত চেকআপ এবং পরামর্শ ও চিকিৎসা সেবা এবং অনলাইন রেজিট্রেশন। গর্ভবতী মহিলাদের প্রসব পূর্ব, প্রসবকালীন, প্রসবোত্তর অত্যাবশকীয় সেবা প্রদান এবং প্রয়োজন দ্রুততার সাথে জরুরী প্রসুতি সেবা কেন্দ্রে প্রেরন। (RBS) দেখুন
১৯. জনবান্ধব জনসচেতনতায় খেড়কাটি কমিউনিটি ক্লিনিক। দেখুন
২০. খেড়কাটি কমিউনিটি ক্লিনিকে বঙ্গবন্ধু কর্ণার স্থাপন । দেখুন
২১. একনজরে খেড়কাটি কমিউনিটি ক্লিনিক । দেখুন
২২. খেড়কাটি কমিউনিটি ক্লিনিকে কভিট-১৯ টিকাদান কার্যক্রম দেখুন
২৩. বিভিন্ন দিবসে ও নিয়মিত খেড়কাটি কমিউনিটি ক্লিনিকে জাতীয় পতাকা উত্তলন । দেখুন
২৪. খেড়কাটি কমিউনিটি ক্লিনিকে করোনা প্রতিরোধে মাক্স বিতরন । দেখুন
২৫. স্থানিয় ব্যবস্থ্যাপনায় খেড়কাটি কমিউনিটি ক্লিনিকে মাটি ভরাট । দেখুন
২৬. খেড়কাটি কমিউনিটি ক্লিনিকে নিয়মিত সাপোট গ্রুপ সমন্বয় সভা করা হয়। দেখুন
২৭. খেড়কাটি কমিউনিটি ক্লিনিকে কিশোর কিশোরীদের স্বাস্থ্য সচেতনতা বৃদ্ধিতে Health Education । দেখুন
২৮. পরিবার পরিকল্পনা সেবা, যেমন- সুখিবড়ি, কনডম, ইনজেকশন, ইত্যাদি দেখুন
২৩. খেড়কাটি কমিউনিটি ক্লিনিকে বঙ্গবন্ধু কর্ণার স্থাপন । দেখুন
২৩. খেড়কাটি কমিউনিটি ক্লিনিকের এরিয়া ম্যাপ । দেখুন
২৪. খেড়কাটি কমিউনিটি ক্লিনিকে সিডুল মোতাবেক EPI টিকা দেয়া হয়। দেখুন
২৫.খেড়কাটি কমিউনিটি ক্লিনিকে সিডুল মোতাবেক কিশোরীদের TT টিকা দেয়া হয়। দেখুন
অন্যান্য পোষ্ট পড়ুন
একটি একক স্বাস্থ্য সেবা ইউনিট হিসেবে কমিউনিটি ক্লিনিকসমূহে নিম্নোক্ত সেবাসমূহ প্রদান করা হয়:
(১) মাতৃ ও শিশু স্বাস্থ্য সেবা ও নবজাতকের স্বাস্থ্য সেবা,
(২) শিশু স্বাস্থ্য সেবার সমন্বিত ব্যবস্থাপনা,
(৩) প্রজনন ও পরিবার পরিকল্পনা সেবা,
(৪) নব বিবাহিত দম্পতি, গর্ভবতী মা, জন্ম- মৃত্যু ইত্যাদির নিবন্ধন,
(৫) পুষ্টি শিক্ষা, পুষ্টি তথ্য ও পুষ্টি সহায়ক ভিটামিন সরবরাহ,
(৬) স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা সংক্রান্ত পরামর্শ প্রদান,
(৭) যক্ষা, ম্যালেরিয়া, নিউমোনিয়া, ইনফ্লুয়েঞ্জা, বিপদজনক গর্ভাবস্থা ইত্যাদি চিহ্নিতকরণ ও উন্নত সেবার জন্য সুপারিশসহ প্রেরণ,
(৮) নতুন কোনো ব্যাধি সংক্রমনের সম্ভাবনা চিহ্নিতকরণ ও উপজেলা পর্যায়ে সেবার জন্য প্রেরণ,
(৯) বাংলাদেশ সরকারের স্বাস্থ্য নীতির অধীন অন্যান্য স্বাস্থ্য সেবা প্রদান,
(১০) উপজেলা পর্যায়ের স্বাস্থ্য সেবা কেন্দ্রসমূহের সাথে সংযোগ রক্ষা,
(১১) সাধারণ জ্বর, পেটের পীড়া, ডায়রিয়া ইত্যাদি সাধারণ স্বাস্থ্য সমস্যার চিকিৎসা প্রদান, এবং (১২) ক্ষেত্র বিশেষে প্রসূতির অবস্থা বিবেচনায় সাধারণ প্রক্রিয়ায় শিশু জন্মদানের ব্যবস্থা করা।
কমিউনিটি ক্লিনিক স্থাপনের প্রেক্ষাপট, লক্ষ্য, উদ্দেশ্য ও সেবা প্রদানের ক্ষেত্র বিবেচনায় এটি প্রত্যাশা করা যায় যে, বাংলাদেশের সার্বিক স্বাস্থ্য সেবা ব্যবস্থার উন্নতিতে কমিউনিটি ক্লিনিকসমূহ ইতিবাচক ফলাফল রাখতে পারে। কিন্তু বাস্তব ক্ষেত্রে এই উদ্দেশ্যসমূহ অর্জনে কী কী প্রায়োগিক উদ্যোগ নেয়া হয়েছে ও সেসব কতটা ফলপ্রসূ হয়েছে, তা অনুসন্ধানের দাবী রাখে।
Learn more »